দেবরের সঙ্গে পরকীয়ার জেরে কুমিল্লায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

দেবরের সঙ্গে পরকীয়ার

কুমিল্লা: কুমিল্লায় স্ত্রী রোজিনা আক্তার রিয়াকে হত্যার দায়ে স্বামী মোয়াজ্জেম হোসেন ভূইঁয়া সুমন (৩০) কে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন কুমিল্লার আদালত। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর স্টেনোগ্রাফার (পি.এ) মোঃ রেজাউল করিম।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় এ রায় দেন কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন। রায় ঘোষণাকালে আসামি সুমন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোয়াজ্জেম হোসেন সুমন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কমলপুর গ্রামের মৃত শেখ আহাম্মদ ভূঁইয়ার ছেলে।

মামলার বিবরণে জানাযায়- ঘটনার আড়াই বছর পূর্বে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোয়াজ্জেম হোসেন ভূইঁয়া সুমন এর সহিত ভিকটিম রোজিনা আক্তার রিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আসামির দাবী অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়া হয়। এর কিছুদিন পর কন্যার সুখের কথা চিন্তা করিয়া অনেক কষ্ট করে ভিকটিমের বৃদ্ধ মাতা স্বর্ণের এক জোড়া কানের দুল ও একটি স্বর্গের গলার চেইন দেন। এতে আসামি সুমন সন্তুষ্ট না হয়ে আরো ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করিলে ভিকটিম উক্ত যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় ঘটনার দিন, তারিখ ও সময়ে অর্থাৎ ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুআরি রাত্রি অনুমান ৪ টায় সময় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ধারালো চাকু দিয়ে ঘাই মেরে তাঁর স্ত্রী ভিকটিম রোজিনা আক্তার রিয়াকে হত্যা করে।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট বোন শারমিন আক্তার বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ১১(ক) ধারার বিধানমতে মামলা করিলে আসামি সুমনকে পুলিশ আটক করে এবং ভিকটিমের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান ঘটনার তদন্তক্রমে ২০১২ সালের ৮ মে বিজ্ঞ আদাতলে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন (যাহার চার্জশীট নং-১৩১) এবং ২০১২ সনের ১২ সেপ্টেম্বর আসামি বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে। তৎপর ৭জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণক্রমে যুক্তিতর্ক শুনানী অন্তে আসামি সুমনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার আসামি মোয়াজ্জেম হোসেন সুমনের মৃত্যুদণ্ডসহ দশ হাজার টাকা অর্থ দন্ডের আদেশ দেন।

এদিকে, রাষ্ট্র পক্ষের বিজ্ঞ কৌশলী কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর স্পেশাল পিপি এডভোকেট প্রদীপ কুমার দত্ত জানান- এ রায়ে সন্তুোষ প্রকাশ করে বলেন অতি শীঘ্রই এ রায় কার্যকর চাই।

ফম/এমএমএ/তাপস/

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *